তারকাসুরের অত্যাচারে সমগ্র দেবকুল অতিষ্ঠ। কেউ বধ করতে পারছিলনা তাকে। দরকার হল অমিত পরাক্রমশালী এক যোদ্ধার যে কিনা অনায়াসে বধ করবে তাকে এবং দেবতাদের রক্ষা করবে।
তারকাসুর নিধনের জন্য ব্রহ্মার একবার মনে হল শিব-পার্বতীর একটা ছেলে হওয়া খুব দরকার। সে হবে দেবসেনাপতি। ব্রহ্মার আদেশ মাথায় নিয়ে শিবুদা পার্বতীকে নিয়ে মহাসুখে দরজায় খিল আঁটলেন। রতিবিহ্বলা পাব্বতী কাঁচুলি খুলছেন এলো চুলে। একে একে সব বস্ত্রের পরত সরাতে সরাতেই শিবুদা ফিদা এক্কেরে। জটাজুট মাথায় তুলে এবার জোরকদমে প্রস্তুতি.. চলতে লাগল সম্ভোগ পর্ব। ওদিকে হর-গৌরীর অন্তহীন ফোর-প্লে তে রতিক্রিয়া বিলম্বিত হল। অধৈর্য হয়ে শিবুদার ইয়ারদোস্ত দেবগণ বলল, বুড়ো ভাম বেম্মাদার আর খেয়েদেয়ে কাজ নেই, ঘাটের মড়া শিবুটাকে এই বয়সে কিনা ঐসব কম্মো করতে পাঠায়! তারা মদনদেবকে প্রথমে পাঠালেন শিব-পার্বতীর মাষ্টার বেডরুমে তলব করতে। শিবুদা চরম উত্তেজনার মুহূর্তে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে মদনকে বাণ মেরে ভস্মীভূত করলেন। আবারো দরজায় খিল। এবার পাঠানো হল অগ্নিকে। শিবের অবস্থা তখন নালে-ঝোলে। পার্বতীকে ইমপ্রেগনেট করা তো দূরের কথা মৈথুনরত শিবের রেতঃ স্খলিত হল অগ্নির সম্মুখে। শিবুদার কাপড়েচোপড়ে অবস্থা দেখে, অগ্নি মূল্যবান কেমিক্যালটুকুকে কোনোমতে নিয়ে গঙ্গায় ফেলে এলেন। ব্যাস! একফোঁটাই অনেক। সেখান থেকে দেবশিশুর জন্ম হল। তাই গঙ্গা হল কার্তিকের জন্মদাত্রী জননী। এবার কে দেখবে এই সদ্যোজাতকে?গঙ্গার তো অবৈধ শিশু কার্তিক। উপায়ও হল সাথে সাথে.... ছ'জন কৃত্তিকা, মানে আয়ার সমতুল্য ঐ শিশুকে স্তন্যদান করে পালন করতে লাগলেন। পার্বতী জানতে পেরে রেগে অগ্নিশর্মা।ছেলে বলে কথা!!! যেহেতু ঐ পুত্র শিবের ঔরসজাত ঐ পুত্রের মা হবেন তিনিই । তাই তো মাদুর্গা না বিইয়ে কানাইয়ের, থুড়ি "কার্তিকের মা" হয়ে গেলেন। আর তারকাসুর বধ করে ফেমাস হয়ে গেলেন দেবসেনাপতি বা দেবলোকের আর্মির মেজর জেনারেল । টেকনিক্যালি গঙ্গার গর্ভে জন্ম তাই কার্তিকের এক নাম গাঙ্গেয়। থিওরিটিকালি কৃত্তিকারা মায়ের মত পালন করেছিল তাই আরেক নাম কার্তিকেয় ।
আর বেসিকালি মহাদেবের পুত্র তাই আরেক নাম শিবসুত ।
darun
ReplyDeletedarun
ReplyDeleteOh darun
ReplyDeleteage poRechhi ki? darun laglO...Sikta Das
ReplyDelete�� মজাদার তো !
ReplyDelete